শেখ মুজিবুর রহমান যে পূর্ব-পাকিস্তানের স্বাধীনতা চাননি; বরং স্বায়ত্তশাসন চেয়েছিলেন তা তাঁর নিজ মুখেই ভিডিও-১ ও ভিডিও-২ এ শুনেছেন।এরপর আর নতুন কোন প্রমানের প্রয়োজন না হলেও নিচে কিছু অকাট্য দালীলিক প্রমান উপস্থাপন করা হলো:
0১.
Is the West Pakistan Government not aware that I am the only one able to save East Pakistan from Communism. If they take a position to fight I shall be pushed out of power and the ‘Naxalites’ will intervene in my name. If I make too many concessions I shall lose my authority. I am in a difficult situation.
Ref: La Monde, 31 March 1971
অর্থাৎ পশ্চিম পাকিস্তান সরকার কি জানে না যে আমিই একমাত্র পূর্ব পাকিস্তানকে কম্যুনিজম থেকে বাঁচাতে সক্ষম? যদি তারা লড়াই করার অবস্থান নেয় তাহলে আমাকে ক্ষমতা থেকে বের করে দেওয়া হবে এবং ‘নকশালীরা’ আমার নামে হস্তক্ষেপ করবে। আমি যদি বেশী ছাড় দেই তাহলে আমি আমার কর্তৃত্ব হারাবো। আমি একটা কঠিন পরিস্থিতিতে আছি।
সূত্র: ফ্রান্সের পত্রিকা ‘ল্যা মদ’, ৩১ মার্চ ১৯৭১
শেখ মুজিব ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানী সৈন্যদের কাছে আত্মসমর্পনের আগে ফরাসী পত্রিকা ‘ল্যা মদ’ এর কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উপরোক্ত মন্তব্য করেছিলেন। ৩১ মার্চ, ১৯৭১ সালে এটি যখন প্রকাশিত হয় তখন তিনি পাকিস্তানের জেলে।
এইটি একটি পরিষ্কার প্রমান যে, তিনি তখনো পাকিস্তানকেই রক্ষা করতে চেয়েছিলেন এবং পাকিস্তান ভাঙার জন্য কম্যুনিজম কেই তিনি প্রধান আতঙ্ক হিসাবে দেখতেন।
0২.
শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বাধীনতা চাননি তার আরেকটি দালিলিক প্রমান দেখুন। শেখ মুজিবের অন্যতম সহযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ তাঁর লিখা বই “তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’র” ৫৯ ও ৬০ পৃষ্ঠায় স্পষ্ট করে লিখেছেন যে,জনাব তাজউদ্দীন আহমদ অনেক পীড়াপীড়ি করা সত্ত্বেও শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে রাজী হননি।
বইটির ৫৯ ও ৬০ পৃষ্ঠার খন্ড খন্ড কিছু অংশ তুলে ধরলাম:
“পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মার্চের ভয়াল কালো রাতে আব্বু গেলেন মুজিব কাকুকে নিতে। মুজিব কাকু আব্বুর সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন সেই ব্যাপারে আব্বু মুজিব কাকুর সাথে আলোচনা করেছিলেন। ………… তিনি আব্বুকে বললেন, ‘বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশুদিন (২৭ মার্চ) হরতাল ডেকেছি।’ মুজিব কাকুর তাৎক্ষণিক এই উক্তিতে আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ় হয়ে পড়লেন”…………………
পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন এবং টেপ রেকর্ডারও নিয়ে এসেছিলেন। টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় সাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান। ……….. আব্বু বলেছিলেন, মুজিব ভাই, এটা আপনাকে বলে যেতেই হবে। …….. যদি বেতার মারফত কিছু করা যায়, তাহলে সেটাই করা হবে। মুজিব কাকু উত্তরে বলেছিলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশ দ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।