মোমেন্টাম কি

আমরা কে এবং কেন

“মোমেন্টাম বাংলাদেশ” একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম তবে এটি রাজনৈতিক পদক্ষেপের প্রস্তাবনা তৈরী করেও রাজনীতিকে সমর্থন করে। এটি একে বারে একটি স্বাধীন এবং “মুনাফার-জন্য-নয় (not-for-profit)”একটি সেচ্ছা সেবী প্লাটফর্ম।

দেশ-বিদেশে শিক্ষা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জনকারী দুইজন আইনজীবী, ব্যারিস্টার মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশের প্রাক্টিশনার ফারজানা শারমিন এই প্লাটফর্মটি গঠন করেন। “মোমেন্টাম বাংলাদেশ“ হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্বেগ এবং সংস্কৃতির সমগ্র বিদ্যমান ধারণাকে পরিবর্তন করার লক্ষ্যে একটি প্রাণবন্ত আন্দোলন।

এটি তার উদ্ভাবনী, নতুন এবং প্রযুক্তিগত ধারণা নিয়ে বিএনপিকে সমর্থন করে এবং আমাদের জাতির আসল চিত্র ও পরিচয় প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে চায় । বিএনপির সকল কর্মীদের এক প্ল্যাটফর্মে এনে আমাদের সামনে থাকা সকল চ্যালেঞ্জ জনাব তারেক রহমান যাতে মোকাবেলা করতে পারেন সে লক্ষ্যে এটি নিরলস কাজ করে যেতে চায়। আপনাদের মতামত প্রকাশের জন্য এই প্লাটফর্মে সবাইকে সদস্য হওয়ার প্রস্তাব করছি। বিএনপি এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে এক ক্লিকে যে কোন বিষয়ে গবেষণা করতে পারে এবং যে কোন সদস্য তাদের প্রোফাইলসহ সারা দেশের নেতাদের এবং এমনকি একটি ওয়ার্ড কমিটির সম্পূর্ণ তালিকাও দেখতে পারবেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান আমাদের ‘মুখ’ এবং আমরা সকলেই তাদের বজ্র কণ্ঠ হতে পারি। দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের বাংলাদেশ ভিশন এবং আওয়ামীলীগের নৃশংস কার্যকলাপের একটি সম্পূর্ণ চিত্র এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের সদস্যদের কাছে উপলভ্য হবে ।

“মোমেন্টাম বাংলাদেশ“ দেশের জন্য যে কেনো নাগরিকের অবদান ও প্রয়াস কে প্রশংসা করে পুরষ্কারের পাশাপাশি তাদের জড়িত হওয়ার অবদানকে স্বীকৃতি দেয়। এটি বিতর্ক, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার, প্রদর্শনীর আয়োজন করে এবং যুবকদের সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ধারণ করতে উৎসাহিত করে।

কি অর্জন করবো

আদালতে আইনী সহায়তা প্রদান করে,পরিচালিত যে কোন গবেষণার ফলাফল সরবরাহ করে, আমাদের ওয়েবসাইটে প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রকাশ করে এবং গণতন্ত্র ও অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রতিবাদের সময় অত্যাচারী শাসকের অত্যাচারের স্বীকার হওয়াদের সাহায্য করে বিএনপির সমর্থনকারী ছাতা হিসাবে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করছি ।

আমাদের ভিশন

একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা

আমাদের লক্ষ্য

আমাদের লক্ষ্য একটি উপযুক্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং জ্ঞান-ভিত্তিক রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য কাজ করে যাওয়া। আমরা মানবাধিকার রক্ষায় এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সমাজের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য ইস্যুতেও যথাযথ পরিবর্তন আনতে চেষ্টা করব। আমাদের ক্রিয়াকলাপগুলো উদ্ভাবনী, সহযোগী এবং অভিজ্ঞতাগত গবেষণার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।

কীভাবে লক্ষ্য অর্জন করব

আমাদের লক্ষ্য অর্জনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করন, গবেষণা পরিচালনা ও সেমিনার আয়োজন করে নাগরিক এবং পেশাদার উভয়েরই সচেতনতা বৃদ্ধি করন, গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা এবং এই ফলাফলকে সক্রীয় বিবেচনায় নিয়ে আসা। সামগ্রিকভাবে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের এবং সমাজের প্রয়োজন ও প্রত্যাশা মেটাতে এই প্লাটফর্মের সক্ষমতা ও সামর্থ্য উন্নত করা

এই প্লাটফর্মের উদ্দেশ্যসমূহ

  • বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও মানবাধিকার জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করা

  • সকল নাগরিকের উপযুক্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করা

  • নিরপরাধ ক্ষতিগ্রস্থদের এবং দরিদ্রত্বে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করার জন্য একটি এডভোকেসি পরিষেবা প্রদানের কাজ করা

  • আমাদের মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ এবং এর সঠিক প্রয়োগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা
  • বিএনপির সংশ্লিষ্ট আইন বিভাগকে সহায়তা ও সুপারিশ করার লক্ষ্যে আইনী বিষয় নিয়ে গবেষণা করা

  • সকল ধরণের রাজনৈতিক ও আইনী বিষয় নিয়ে সেমিনার এবং বিতর্ক পরিচালনা করে বিএনপির সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে পরামর্শ প্রদান করা

  • বিএনপির সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে পরামর্শ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে গবেষণা পরিচালনা এবং গবেষণা প্রকাশ করা

  • দল ও দেশের জন্য যে কোন অবদানের জন্য বিএনপির নেতা-কর্মী কিংবা দেশ বিদেশের যে কোন নাগরিক কে পুরস্কৃত করা।

তাসলিমা আবেদ 

তসলিমা আবেদ ছিলেন একজন নারী অধিকার কর্মী এবং রাজনীতিবিদ।

তিনি কেন্দ্রীয় মহিলা পুনর্বাসন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। এটি ছিল ধর্ষণের শিকার নারীদের পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার জন্য একটি ফাউন্ডেশন। ১৯৭৪  সালে বাংলাদেশ সরকার ফাউন্ডেশনের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন নাম প্রদান করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযুক্ত করা হয়।

১৯৮০ সালে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং একই বছর জুলাই মাসে কোপেনহেগেনে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

মোহাম্মদ ইউসুফ আলী

মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ১৯২৩ সালে দিনাজপুরের ফরক্কাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৪৪ সালে দিনাজপুর একাডেমি হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং রিপন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন। তিনি সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে স্নাতক এবং ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং দিনাজপুর জেলা বারে যোগ দেন।

মোহাম্মদ ইউসুফ আলী নবাবগঞ্জ কলেজ এবং পরে সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভার সদস্য এবং ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ভারতে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভার প্রথম শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং গণপরিষদের (বাংলাদেশের অস্থায়ী সংসদ) স্পিকার ছিলেন।  শেখ মুজিবুর রহমান তাকে বাকশালের শ্রমিক লীগের চেয়ারম্যান করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি বাকশালে শ্রমমন্ত্রী ছিলেন কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ সরকারে যোগ দেন এবং পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৭ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের (মিজান চৌধুরী অংশে) মহাসচিব ছিলেন এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় বস্ত্রমন্ত্রী এবং ১৯৮১ সালে বিচারপতি আবদুস সাত্তার মন্ত্রিসভায় পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৯৮৫ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি এরশাদের অধীনে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোহাম্মদ ইউসুফ আলী ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বরে ইন্তেকাল ।

আব্দুল হক 

আবদুল হক দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দিনাজপুর-৫ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

সিরাজুল ইসলাম

সিরাজুল ইসলাম ১৯৪৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১৯৯৬ সালের জুন মাসে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৭৩ ও ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দিনাজপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাছাড়া ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পঞ্চগড়-১ আসন থেকেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সিরাজুল আলম খান একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, দার্শনিক এবং লেখক। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী একটি গোপন সংগঠন, “স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ” এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।   

জাসদ:

১৯৭২ সালের অগাস্ট মাসে জনাব সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে মেজর জলিল, আ.স.ম আব্দুর রব এবং শাহজাহান সিরাজ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করেন। শেখ মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে “গণবাহিনী” নামে জাসদের একটি বিপ্লবী সশস্ত্র বিভাগ ছিল। কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে এই গণবাহিনীতে ছিলেন হাসানুল হক ইনু, কাজী আরেফ আহমেদ, মনিরুল ইসলাম ও শরীফ নুরুল আম্বিয়া। জাসদের প্রধান উদ্দেশ্য সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা  করা।

বাংলাদেশ জাতীয় লীগ:

১৯৬৮ সালের ২০ জুলাই জনাব আতাউর রহমান খান বাংলাদেশ জাতীয় লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং ১৯৮৪ সালে তিনিই দলটির অবসান ঘটান। জনাব আতাউর রহমান খান ছিলেন একজন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও লেখক।  তিনি  সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ সাল থেকে  মার্চ ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত পাকিস্তানের পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মুখ্য মন্ত্রী ছিলেন। তাছাড়া তিনি ৩০ মার্চ ১৯৮৪ সাল থেকে ৯ জুলাই ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট এরশাদ এর শাসনামলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ৭ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে ৮৬ বছর বয়সে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।